 |
It's Zia
|
ব্যথা শরীরের যেখানেই থাকুক না কেন, কষ্ট পেতেই হবে। তাই কোনো ব্যথা কমানোর কোনো উপায় নেই। অনেকেই আছেন যারা কাঁধের ব্যথায় ভোগেন। ব্যথা কমানোর জন্য কী করা উচিত তা তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। ব্যথা বেশি হলে বা দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এর আগে ব্যাথা কমাতে ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
কাঁধের ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। আর্থ্রাইটিস, ফ্রোজেন সোল্ডার, কাঁধে অতিরিক্ত চাপ, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে।
যদি কাঁধের ব্যথা তীব্র হয় তবে আপনাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে, তবে তার আগে আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডিস কাঁধের ব্যথার কিছু ঘরোয়া প্রতিকার দিয়েছে।
আজকাল আমরা বেশিরভাগই কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করি। দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকা এবং কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে কাঁধে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। এই কাঁধের ব্যথার সমস্যা একবার শুরু হলে সহ্য করা কঠিন। এ কারণে অনেক সময় স্বাভাবিক কাজ করা সম্ভব হয় না। আসুন জেনে নেই কাঁধের ব্যথার ৩টি ঘরোয়া উপায়-
আইস থেরাপি ব্যবহার করুন
আইস থেরাপি কাঁধের ব্যথা উপশম করার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। এই থেরাপি খুব দ্রুত এবং সহজে ব্যথা কমাতে পারে। এতে ফোলাভাবও কমবে। ব্যথা উপশমে আইস থেরাপি বেশি উপকারী। জয়েন্ট বা পেশীর ব্যথায় আইস থেরাপি বেশি কার্যকর। তবে সরাসরি বরফ দেবেন না। প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে বরফের টুকরা রাখুন। তারপর তোয়ালে মুড়িয়ে ব্যথার জায়গায় কুড়ি মিনিট রাখুন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
ঠান্ডা সেঁক দিন
ঠান্ডা সেঁক কাঁধের ব্যথা কমাতে খুবই উপকারী। ঠাণ্ডা ঘা আক্রান্ত স্থানে একটি অসাড় অনুভূতি তৈরি করে। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমায়।
* একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে বরফের টুকরো নিন। একটি তোয়ালে দিয়ে ব্যাগটি মুড়ে দিন।
* আক্রান্ত স্থানে ১০ থেকে ১৫মিনিট রাখুন।
* ফোলাভাব থাকলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর এই সেঁক দিন।
* ব্যথা এবং ফোলা কম না হওয়া পর্যন্ত পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। কিন্তু কখনোই সরাসরি ত্বকে বরফ লাগাবেন না।
গরম সেঁক দিন
নতুন ব্যথার জন্য আইস থেরাপি বেশি কার্যকর। ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে আইস থেরাপির পরিবর্তে গরম কমপ্রেস দিন। এই গরম ক্বাথ জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা নিরাময়ে খুব কার্যকর। আপনি কাপড় গরম করতে পারেন বা গরম জলের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রভাবিত এলাকায় রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। ফলে ব্যথা দ্রুত কমে যায়।
ঠান্ডা সেঁক মতো গরম সেঁক জয়েন্টের ব্যথা কমাতে কাজ করে। এটি প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে উপকারী।
গরম জল দিয়ে একটি গরম জলের ব্যাগ পূরণ করুন। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্যাঁক দিন । এই পদ্ধতিটি দিনে কয়েকবার অনুসরণ করুন, যতক্ষণ না ব্যথা কমে যায়।
এছাড়াও গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
লবণ পানিতে গোসল করুন
ব্যথা কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হল লবণ জলে গোসল করা। এটি আপনার কাঁধে ব্যথা এবং ফোলা কমাতে কার্যকর হতে পারে। কারণ লবণ পানিতে গোসল করলে মাংসপেশির ব্যথা অনেক কমে যায়। এটি ফোলাও কমায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ব্যথা ও ফোলাভাব কমে যায়। এই পানিতে আধা ঘণ্টা রেখে গোসল করতে পারেন। এতে ব্যথা কমবে।
ম্যাসেজ
ম্যাসাজ কাঁধের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ম্যাসাজের জন্য অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
ম্যাসাজের ১০ মিনিট আগে গোসল করুন। এতে পেশী শিথিল হবে।
এবার আপনার পছন্দমতো তেল গরম করে কাঁধে ও পিঠে লাগান।
১০ মিনিট ম্যাসাজ করার পরে, একটি তোয়ালে দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ঢেকে দিন।
ব্যথা পুরোপুরি সেরে না যাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। কিন্তু চোটের কারণে কাঁধে ব্যথা হলে সেখানে ম্যাসাজ না করাই ভালো।
ভিটামিন ডি
গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট পেশী ব্যথা কমাতে কাজ করে। ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায়। তাই এই ভিটামিন পেতে প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন।
এছাড়াও কিছু খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। টুনা, ম্যাকেরেল, স্যামন মাছ, ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত খাবার, কমলালেবু, সয়া মিল্ক ইত্যাদিতে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই কাঁধের ব্যথা কমাতে এই খাবারগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। .