![]() |
iStock |
খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চার বা ৩০ গ্রাম খেজুরে ৯০ ক্যালরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি। ক্যালসিয়াম গ্রাম, ফাইবার ২.৮ গ্রাম। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে আরও অনেক পুষ্টিগুণ।
পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক।
খেজুর একটি সুস্থ মানবদেহের আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১% পূরণ করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ আয়রন আসে খেজুর থেকে। এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় শুকনো খেজুর রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
একটি সুস্বাদু এবং সুপরিচিত ফল, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি ব্লাড সুগার বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলা হয়, চার বা ৩০ গ্রাম খেজুরে ৯০ ক্যালরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খেলেই শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
প্রতিদিনের খাবারে খেজুর রাখতে পারেন।
আয়রন সমৃদ্ধ খেজুর প্রতিদিন খেতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি খেজুর খেলে অনেক রোগ ধারে কাছেও আসবে না।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত আয়রন থাকে।
আসুন জেনে নেই খেজুরের উপকারিতা-
১. খেজুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. খেজুরেও ফাইবার পাওয়া যাবে। তাই নিরাপদে এই ফলটি আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
৩. প্রতিটি খেজুরে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. অ্যানিমিক রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রনের প্রায় 11% যোগান খেজুর।
৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির পরিবর্তে খেজুরের রস ও গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
৭. খেজুরে উপস্থিত বিভিন্ন খনিজ হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৮. খেজুরে লুটেইন এবং জিক্সানথিন থাকার কারণে এটি রেটিনাকে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধে খেজুরের উপকারিতা
ক্যান্সার প্রতিরোধ: পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং প্রাকৃতিক ফাইবারে ভরপুর, খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি খুবই কম।
দুর্বল হার্ট: খেজুর হার্টের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ।
বদহজম প্রতিরোধ করে: মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমায় এবং পেটকে কম খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করে। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় চিনির ঘাটতি পূরণ করে।
বুকের দুধ: খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য একটি সমৃদ্ধ খাবার, যা বুকের দুধের পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হাড় গঠন: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে। আর খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়কে মজবুত করে।
অন্ত্রের ব্যাধি: খেজুর অন্ত্রের কৃমি এবং ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খুবই সহায়ক। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: খেজুর দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটিয়ে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক।
কোষ্ঠকাঠিন্য: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে: লিভারের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া এটি গলা ব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভালো কাজ করে।
শিশুদের রোগ: খেজুর শিশুদের মাড়ি মজবুত করে এবং কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। তাহলে শুধু রমজান মাসেই কেন সারা বছর খাদ্যতালিকায় খেজুর থাকা উচিত।
রেফারেন্সঃ ittefaq.com/.jugantor.com